বাটার কেনো ফ্রীজে রাখবেন?
বাটারের গলনাঙ্ক 32 থেকে 35 ডিগ্রি সেলসিয়াস (90 থেকে 95 ডিগ্রি ফারেনহাইট)। ফ্রিজে রাখলে বাটার শক্ত থাকে, কিন্তু ঘরের তাপমাত্রায় নরম হয়ে যায় এবং এই তাপমাত্রায় পাতলা তরল সামঞ্জস্যে গলে যায়।
বাটার সম্পর্কে আপনাদের কিছু প্রশ্ন:
১. বাটার নিয়েছি তেলের মতো তরল হয়ে গিয়েছে কেন?
২. আপনাদের থেকে বাটার নিয়েছি তেল তেল কেন?
৩. আমি ডায়েট করছি আপনাদের বাটার কি ভালো হবে?
৪. ঢাকার বাহিরে বাটার নিয়েছি একটু পানি দেখতে পাচ্ছি কেন?
৫. আপনাদের কাছে কি কি (কত ধরনের) বাটার আছে?
৬. আমাদের বাচ্চাকে বাটার খাওয়াবো এটি কি ভালো হবে?
উত্তর:
১. আমাদের বাটারে যেহেতু কোনো প্রিজারভেটিভ বা কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় না তাই এটি ঘরের তাপমাত্রায় বা 32 থেকে 35 ডিগ্রি সেলসিয়াস আসলে গলতে শুরু করে। তাই বাটার নিয়ে ফ্রীজে সংরক্ষন করুন তারপর খাবেন।
২. বাটার যেহেতু দুধ থেকে তৈরী হয় দুধে ফ্যাট থাকে সেই জন্য তেল এর মতো মনে হয়, কিন্তু এটি স্যাচুরেটেড ফ্যাট হওয়ায় আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক নয়।
৩. বাটারে যেহেতু স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে তাই পরিমান মতো বাটার খেলে ডায়েট করা অবস্থায় আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
৪. ঢাকার বাহিরে ডেলিভারি দেয়ার জন্য আমরা বাটারকে ডীপফ্রীজে সংরক্ষণ করি। ডেলিভারিতে ১ -২ দিন সময় লাগে তাই বাটার গলে যায় তাই একটু পানি দেখতে পান। তাই বাটার হাতে পাবার পর নরমাল ফ্রীজে ১-২ ঘন্টা সংরক্ষণ করুন তারপর বাটার টেস্ট করুন।
৫. বর্তমানে আমাদের ৩ ধরণের বাটার আছে ( সল্টেড , আনসাল্টেড ও সুইট )
৬. পূর্বেই বলেছি আমরা বাটারে কোনো প্রকার প্রিজারভেটিভ বা কেমিক্যাল ব্যবহার করি না। তাই আপনি নিশ্চিন্তে আপনার বাচ্চাদের বাটার খাওয়াতে পারবেন।
স্যাচুরেটেড ফ্যাট কি?
স্যাচুরেটেড ফ্যাট , একটি ফ্যাটি অ্যাসিড যাতে হাইড্রোকার্বন অণুগুলির প্রতিটি কার্বনে একটি হাইড্রোজেন পরমাণু থাকে এবং এইভাবে সম্পূর্ণ হাইড্রোজেনেটেড হয়।
দৈনিক কত পরিমানে স্যাচুরেটেড ফ্যাট খাওয়া উচিত?
মোট ক্যালরির ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশের বেশি নয়। আবার ২০ শতাংশের নিচে থাকা ঠিক নয়। খাবারে চর্বি এড়ানো যাবে না, অতএব চর্বির ভালো-মন্দ যাচাই করেই খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
বাচ্চাদের কতটুকু বাটার খেতে দেয়া যাবে?
বাচ্চাদের বাটার জাতীয় খাবার দেয়ার ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে। বচ্চার যেহেতু সুইট বাটার পছন্দ করে আর সুইট ব্যাটারে এডেড সুগার থাকে তাই পরিমান মতো দেয়াই উচিত।
গলনাঙ্ক কি ?
গলনাঙ্ক হল সেই তাপমাত্রা, যাতে কোনো পদার্থ তার অবস্থাটিকে কঠিন থেকে তরলে পরিণত করে। তরল থেকে কঠিনে বিপরীত পরিবর্তনের তাপমাত্রা হিসাবে বিবেচনা করা হলে, এটি হিমাঙ্ক বা স্ফটিক বিন্দু হিসাবে উল্লেখ করা হয়।
সর্বশেষে বলতে গেলে বাটার এর উপকারিতা অনেক। আপনার যদি শারীরিক সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে বাটার খাবেন ।
লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ এবং আপনার পরিচিত কাউকে জানানোর প্রয়োজন হলে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না ।