ঘি এর পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের আগে জানতে হবে দুধ সম্পর্কে । দুধ হলো আমাদের শরীরের জন্য একটি পুষ্টিগুন সূম্পন্ন গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যা আমাদের শারিরীক বিকাশের পাশাপাশি আমাদের মেধাবিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্ত আপনি জানেন কি দুধের তৈরী এমন কিছু উপাদানসমূহ রয়েছে যা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। আর তেমনি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল ঘি।
প্রাচীনকাল থেকে আমরা ঘি কে খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে আসছি । অনেকেই আছে কে কোনো ধরণের খাবার রান্না করতে ঘি ব্যবহার করে যেমন: বিরিয়ানী , কাচ্চি , খিচুড়ি ইত্যাদি । কেউ কেউ আবার ভর্তা ভাতে ঘি খেতে পছন্দ করে । তাই ঘি এর ব্যবহার আমাদের বাঙালিদের ঘরে ঘরে একটি নিত্যদিনের উপকরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তাহলে চলুন এবার আমরা জেনে নেই ঘি এর পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে:
খাঁটি ঘি এর মধ্যে রয়েছে আমাদের মানবদেহের জন্য বহু গুরুত্বপূর্ণ কিছু পুষ্টিগুণ। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো ভিটামিন ডি,ভিটামিন ই,ভিটামিন কে,ব্রেন টনিক,এন্টি অক্সিডেন্ট,ব্যাটাইরিক এসিড,ফ্যাটি এসিড,কনজুগেটেড লিনোলিক এসিড এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড । এগুলি ছাড়াও আরও ঘি তে আরো অনেক গুনাগুন রয়েছে ।
ভিটামিন এ
ঘি এর মধ্যে ভিটামিন এ এর উপস্থিতি। যা আমাদের ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এছাড়াও আমাদের চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে ভূমিকা পালন করে।
ভিটামিন ডি
ঘি এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ডি। যা আমাদের হারের গঠন মজবুত করতে সাহায্য করে।
ভিটামিন ই
ভিটামিন ই আমাদের হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বাড়াতে বেশ সাহায্য করে।
ভিটামিন কে
ঘি এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন কে এর পুষ্টিগুণ। যা আমাদের শরীরের হাড়কে মজবুত রাখতে সাহায্য করে।
ব্রেন টনিক
আমাদের মস্তিষ্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্রেন টনিক বিদ্যমান রয়েছে ঘি এর মধ্যে। যার ফলে ঘি আমাদের মস্তিস্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
এন্টি অক্সিডেন্ট
ঘি এর মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্ট এর উপস্থিতি। যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
ব্যাটাইরিক এসিড
ঘি এর মধ্যে উপস্থিত রয়েছে ব্যাটাইরিক এসিড। যার পুষ্টিগুণের কারণে আমাদের হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
ফ্যাটি এসিড
ঘি এর মধ্যে উপস্থিত রয়েছে ফ্যাটি এসিড। যার উপস্থিতি আমাদের শরীরের ওজন কমাতে বেশ সাহায্য করে।
কনজুগেটেড লিলোনেক এসিড
ঘি এর মধ্যে রয়েছে উপকারী কোলেস্টরেল কনজুগেটেড লিলোনেক এসিড। যা আমাদের শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড
যারা শরীরের অতিরিক্ত মেদ নিয়ে চিন্তায় আছেন তারা তাদের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন ঘি। ঘি এর মধ্যে বিদ্যমান ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড শরীরে ওজন নিয়ন্ত্রন করতে সাহায্য করে।
চাহিদাবহুল উপাদান ঘি এবং এর মধ্যে উপস্থিত রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এই সকল উপাদানগুলো। এই উপাদান গুলো যদি আমাদের শরীরে প্রবেশ করে তাহলে আমাদের মানবদেহের হারকে যেমন মজবুত করে সেই সাথে আমাদের মস্তিষ্কের কার্যকক্ষমতা বৃদ্ধিতে বেশ সাহায্য করে।
এছাড়াও ঘি এর নানান ধরণের গুনাগুণ এবং উপকারিতা সম্পর্কে আমরা প্রায় সকলেই কম-বেশি জানি। তাই আপনার প্রতিদিনের খাবারের সাথে নিয়মিত ঘি খান এবং শরীরের পর্যাপ্ত পরিমাণ সুস্থতা নিশ্চিত করুন ।
লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ এবং আপনার পরিচিত কাউকে জানানোর প্রয়োজন হলে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না ।